শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, কক্সবাজার সদর :

কক্সবাজার সদর উপজেলার বৃহত্তর ঈদগাঁও এলাকাটি এখন গরু ডাকাতির জন্য মাইলফলক হয়ে দাড়িয়েছে। প্রতিদিন কোন না কোন স্থান থেকে অস্ত্রের মুখে গরুর মালিক কিংবা গৃহস্থকে জিম্মি করে ভারী যানবাহনযোগে নিয়ে যাচ্ছে গরু। পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। সচেতন মহল দাবী করেন, রাতের বেলায় আরকান সড়কে রামু কিংবা চকরিয়া থানার এমনকি ঈদগাঁও ফাঁড়ির পুলিশ নিয়মিত টহল দিলেও একবারের জন্যও আটক কিংবা জব্দ হয়নি ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত গাড়ী ও ডাকাতদলের সদস্যরা। এসময় দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। গভীর রাতে চুরি ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা। একই পন্থায় ডাকাতদল ২২ এপ্রিল রাত আনুমানিক ২টার দিকে ইসলামাবাদ ইউনিয়নের ওয়াহেদর পাড়া এলাকার মৃত কালুর পুত্র মোহাম্মদ আলমের ২টি, ছৈয়দ আলমের পুত্র আলী আকবরের ৩টি, মৃত জবর মুল্লুকের পুত্র জিয়াউর রহমানের ২টি, ড্যাম্পার চালক মৃত আছদ আলীর পুত্র আবদু ছালামের ১টিসহ মোট ৮টি গরু ডাকাতি করে নিয়ে যায়। স্থানীয় ছাবের আহমদ নামের এক ব্যক্তি জানান, গরুগুলো একত্রিত করে স্থানীয় রাইচ মিল এলাকা থেকে ড্যাম্পারে তুলতে দেখা গেছে। সে সামনে এগিয়ে যেতে চাইলে তাকে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করার হুমকি দিলে সে পালিয়ে যায়। তবে ৭/৮ জনের সংঘবদ্ধ ডাকাত এ কাজে জড়িত ছিল। ২ দিনের ব্যবধানে ইসলামাবাদ ও কালিরছড়া থেকে ১৪ গরু ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সচেতন মহলের দাবী, ঈদগাঁও-ঈদগড় সড়কের ডাকাত কিংবা অপহরণকারীরা এখন নির্দিষ্ট গ্রামকে টার্গেট করে গোয়ালঘরে হানা দিচ্ছে। প্রশাসন নির্বিকার এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা সজাগ না থাকায় গরু চুরির ঘটনা নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপারে হয়ে দাড়িয়েছে। এলাকাবাসীর ধারণা, রাতের টহল পুলিশ সম্ভাব্য স্থানে হানা না দিলে এ অবস্থা আরো বেড়ে যাবে। এ ব্যাপারে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. খায়রুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে গরু ডাকাতির ঘটনা শুনেছেন বলে দাবী করেন।